মোঃ জমির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:-
যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ইব্রাহীম খলিল ওরফে খলিলুর রহমান কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৬ সিপিসি-৩, বকচর, যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মাদ সাকিব হোসেন এক “প্রেস রিলিজ” এ জানিয়েছেন- “বাংলাদেশ আমার অহংকার”এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক ও দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে”।
“যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার জিআর নং- ০৬/০১, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার আসামী ইব্রাহীম খলিল খলিল ওরফে খলিলুর রহমান এর বিরুদ্ধে অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঘটনার সাথে আসামী ইব্রাহীম খলিল খলিল ওরফে খলিলুর রহমান এর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ইং ৩১/০৮/২০০৯ তারিখে আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। পরবর্তীতে গোয়েন্দা সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায় যে, আসামী ছদ্দনাম ব্যবহার করে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্য প্রাপ্ত হয়ে ইং ০২/০৩/২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ২০.১৫ ঘটিকায় র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ইব্রাহীম খলিল ওরফে খলিলুর রহমান (৫১), পিতা- ইসমাইল, সাং- পদ্মপুকুর, থানা- ঝিকরগাছা, জেলা- যশোর’কে গ্রেফতার করে”।
“গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিল। সে কাজের সুবাদে বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছে এবং ছদ্দনাম ব্যবহার ও ভূয়া এনআইডি কার্ড বানিয়ে এ যাবৎ তিনটি বিয়ে করেছে। সে তার ১ম স্ত্রীকে রেখে যশোর জেলার মনিরামপুর থানাধীন রাজগঞ্জ এলাকায় কাজ করাকালীন রেশমা নামে এক মহিলার সাথে পরিচিত হয় এবং তাকে তার মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রেম ভালবাসার ফাঁদে ফেলে। ভিকটিমের পরিবার আসামী ইব্রাহীম খলিল @ খলিল @ খলিলুর রহমান এর সাথে ভিকটিমের বিবাহ দিতে রাজি নাহলে আসামী কৌশলে গত ২০২১ সালে ভিকটিমকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা আসামী ইব্রাহীম খলিল @ খলিল @ খলিলুর রহমান এর বিরুদ্ধে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানায় অপহরণ করতঃ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আসামী ০৮ মাস জেল হাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পান এবং আদালতে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে নিজেকে আত্মগোপন করতে ঢাকায় পালিয়ে যায়। আসামী পেশায় রাজমিস্ত্রী হওয়ায় সে ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে ৩১/০৮/২০০৯ তারিখে আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন”।
“সাজা থেকে নিজেকে বাঁচাতে আসামী নিজের নাম পরিবর্তন করে মোঃ সুমন ইসলাম নামে ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করে যশোরে ফিরে আসে এবং যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন চাপাতলা এলাকায় ৩য় স্ত্রীর এলাকায় নিজেকে ভুয়া এনআইডির নাম মোঃ সমুন ইসলাম নামে পরিচয় দিয়ে নিজেকে আত্মগোপন রাখে।* পরবর্তীতে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প আসামী ইব্রাহীম খলিল ওরফে খলিলুর রহমান (৫১) কে সনাক্ত করে উপরোক্ত সময় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং আসামী তার নাম ইব্রাহীম খলিল ওরফে খলিলুর রহমান বলে স্বীকার করে”।
পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামী ইব্রাহীম খলিল কে যশোর জেলার ঝিরকগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে “প্রেস রিলিজ” এ জানানো হয়েছে।