কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় প্রকাশ্যে এক শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের নলকুঁড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম রসূল লিটন (৪৮) ওই গ্রামের তফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি বাড়ির পাশের কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়াতেন। আটক শাফায়াত আলী (৩৬) একই গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে। তিনি একজন মাদকাসক্ত বলে পরিচিত।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় লিটন নিজের কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছিলেন। এ সময় মাদকাসক্ত শাফায়াত সেখানে হাজির হয়ে লিটনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা জানা যায়নি।
গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল প্রধান বলেন, লিটন শিক্ষক হিসেবে যথেষ্ট ভালো ছেলে ছিল। সকালবেলাও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। যে হত্যা করেছে সে একজন মাদকাসক্ত। এলাকাবাসী তাকে ধরতে গেলে দা নিয়ে তেড়ে আসলে তাকে আর ধরা যায়নি। আমি এ হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় রাত সোয়া ৯টায় শাফায়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লিটনের মাথায় ও গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের স্ত্রী মাহমুদা হেলেন বাদী হয়ে ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন ঘাতক শাফায়াত এবং তার ভাই কায়সার।