• রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
  • ইপেপার
শিরোনাম:
ট্রাম্পের কাছে গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি একটি পক্ষ: প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শবে বরাতের নফল নামাজ ও রোজা সম্পর্কে জানুন শেখ হাসিনার বিচার করতে না পারলে মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না: ড. ইউনূস তাক্বওয়া ইসলামিক স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী  অনুষ্ঠান  সম্পন্ন।  বাংলাদেশ ইস্যু আমি মোদির ওপরই ছেড়ে দেবো: ডোনাল্ড ট্রাম্প রায়পুরায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ র‍্যাব বিলুপ্ত করতে জাতিসংঘের সুপারিশ, যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গোপনে বলতাম, আল্লাহ এই ডাইনির হাত থেকে আমাদের বাঁচাও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের

প্রকাশক / ২৪২
বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও তাদের বংশধররা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান স্বীকার করতে চায় না। এই গোষ্ঠী এখনও নানাভাবে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করে। তাদের এই ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে সোচ্চার হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বৈশ্বিক তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে বলেন, এ ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এটি যুগে যুগে বিশ্বের সব অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে। এই ভাষণ সকল দেশ, জাতি ও যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক। এ কারণেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ভাষণে স্বাধীনতার উপাদান, রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতিসহ সামগ্রিক বিষয়ে দিক্ নির্দেশনা ছিল। বঙ্গবন্ধু মানুষের মনের ভাষা বুঝতেন। তিনি যা হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন, তা-ই ৭ মার্চের ভাষণে প্রতিফলিত হয়েছে। এ কারণেই তার আহ্বানে লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

উপাচার্য আরও বলেন, এই ভাষণের আগে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট রচনা করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ তার নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই পতাকা ৭ মার্চের জনসভায় গণমানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য তিনি জাতিকে প্রস্তুত করেন। ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট ও সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এ ছাড়া, সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছারসহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।

এর আগে, দিবসটি উপলক্ষে সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

TikTok

জরুরি হটলাইন