>> মোঃ মোমিন ইসলাম
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উক্ত বিভাগের সকল ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে এবং তাদের দাবি দায়িত্বরত শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক সাজন সাহা এবং তাকে বিভিন্নভাবে মদদ দানকারী একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজওয়ান আহমেদ শুভ্রর স্থায়ী বহিষ্কার যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত তারা সব ধরনের ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করবে। উল্লেখ্য যে শিক্ষার্থীরা ওই দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেধে দেয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে টানা আন্দোলন চলতে থাকলে আন্দোলনের তৃতীয় দিনের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সৌমিত্র শেখর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডক্টর আতাউর রহমানকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটিউচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে কত দিনের মাথায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দিতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরোলেও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আবারও তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ঐ শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে টানা ৪র্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করে এবং তারা বলে যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আরো কঠোর হতে কঠোরতার কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯ -২০ সেশনের ছাত্রী সানজানা আহসান ছোয়াকে দীর্ঘদিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই বিভাগের শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক সাজন সাহা অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছেন।ঐ শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন,সাজন সাহা তাকে গভৃীর রাতে চা খেতে ডাক, শাড়ি পড়ে ফটো দেওয়,পার্কে ও দোলনায় ঘুরতে যাওয়, রাতে রুমে এসে দেখা করা, এছাড়াও সে তার প্রস্তাবে রাজি হলে তার পরীক্ষায় মার্ক বাড়িয়ে দিবে এই ধরনের প্রস্তাব দিয়ে আসছ। এতে ওই শিক্ষার্থী রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্ত্র করার পাশাপাশি সম্প্রীতি তার থিসিস পেপার আটকে ও দেওয়া হয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পরিক্ষার নাম্বার টেম্পারিং এর অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে ওই শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখরের নিকট গত ৩ মার্চ সোমবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ।