• রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
  • ইপেপার
শিরোনাম:
ট্রাম্পের কাছে গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি একটি পক্ষ: প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শবে বরাতের নফল নামাজ ও রোজা সম্পর্কে জানুন শেখ হাসিনার বিচার করতে না পারলে মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না: ড. ইউনূস তাক্বওয়া ইসলামিক স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী  অনুষ্ঠান  সম্পন্ন।  বাংলাদেশ ইস্যু আমি মোদির ওপরই ছেড়ে দেবো: ডোনাল্ড ট্রাম্প রায়পুরায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ র‍্যাব বিলুপ্ত করতে জাতিসংঘের সুপারিশ, যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গোপনে বলতাম, আল্লাহ এই ডাইনির হাত থেকে আমাদের বাঁচাও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রওশনপন্থি জাপার সম্মেলন চলছে

প্রকাশক / ১১৮
শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪

জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সম্মেলন করছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। এতে জাতীয় পার্টি নামে আরও একটি দলের সৃষ্টি হচ্ছে। এরআগে জাতীয় পার্টি ভেঙে একই নামে ৫টি দল হয়েছে।

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর রমনা ইনস্টিটিউটের সামনে খোলামাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্মেলনে রওশন এরশাদ ছাড়াও রয়েছেন— জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

রাজধানী ছাড়া ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। সম্মেলন উপলক্ষ্যে রাজধানী বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার-ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু হয়। এরপর নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে অন্তত ছয় ভাগে বিভক্ত হয়েছে দলটি। তারপর থেকে এরশাদ-রওশন ও জি এম কাদের বলয়কেই জাপার মূল ধারা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনা শাসক এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে রওশন, কাদের অর্থাৎ দেবর-ভাবির মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কোন্দলের মাত্রা চরমে ওঠে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা সরাসরি পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে সভা ডেকে ফল বিপর্যয়ের জন্য দোষারোপ করেন। তাদের পদত্যাগও চান পরাজিত প্রার্থীদের অনেকেই। এ ঘটনা কেন্দ্র করে দলে থাকা দীর্ঘদিনের মিত্রদের একে একে বহিষ্কার করেন জি এম কাদের। এর মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে জাপার স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হন রওশন এরশাদ।

মূলত রওশন অংশে তিনি ছাড়া বাকি শীর্ষ নেতাদের সবাই দল থেকে বহিষ্কৃত। বহিষ্কৃত নেতাদের হাতে নিয়েই নতুন করে দল গঠন করতে যাচ্ছেন সাবেক এই বিরোধী দলের নেতা। যদিও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রওশনকে এখনো বহিষ্কার করেননি জি এম কাদের।

আজ দলটির একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাপায় সবচেয়ে বড় ভাঙন হতে যাচ্ছে। যদিও ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে রংপুরসহ ১৭টি জেলা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না। অন্য জেলার নেতাকর্মীরাও কমবেশি এখন দুই ভাগে বিভক্ত। তবে কেন্দ্রের বিরোধের কমবেশি প্রভাব পড়েছে সবখানেই।

বিভক্তি প্রসঙ্গে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর ও রওশনের সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব কাজী ফিরোজ রশীদ কালবেলাকে বলেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে অনেক চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। জাপা ভাঙছে। এজন্য কে দায়ী, তা হয়তো সময় মূল্যায়ন করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

TikTok

জরুরি হটলাইন