সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এবার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে আগেই। কিন্তু ভোট গণনা নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। যা নিয়ে রীতিমতো মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
এবার জানা গেল ২০২৪-২৫ সালের দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের ভোট গণনা হবে আজ। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টায় এ নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর ঘোষণা করা হবে ফলাফল।
সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ওই মামলায় আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি সহকারী জেনারেল সাইফুর রহমান সাইফ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে এই মামলা করেন তিনি। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনের ফলাফলের দিন অ্যাডভোকেট এবং কাজলের নির্দেশে বার সমিতির নীচ তলায় আসামি অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ অস্ত্রহাতে নিয়ে মামলার বাদী সাইফসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যদের গালিগালাজ করেন। এরপর মামলার আসামি অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ এবং অ্যাডভোকেট উসমান বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে রড দিয়ে আঘাত করেন। তখন আসামিরা সাইফকে লাঠি ও চেয়ার দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট ও আঘাত করেন। এ সময় অ্যাডভোকেট সাইফের সঙ্গে থাকা ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকেও পেটানো হয়। বর্তমানে সাইফুর রহমান সাইফ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।
বাদীর দেওয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ওসি বলেন, নেওয়া হয়েছে বা নেওয়া হয়নি-কোনো বিষয়েই মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
সূত্র জানায়, অভিযোগের বাদী সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল। আবার অভিযুক্তদের বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় যুবলীগের পদধারী নেতা। কেউ আবার আইনজীবী। এমন পরিস্থিতি পুলিশ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছে না। থানা পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।
এর আগে গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টায় শেষ হয়। দুইদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হলেও সংঘর্ষের কারণে এখন পর্যন্ত ভোট গণনা হয়নি