প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, শিক্ষকতা পেশায় আমার ১৯টা বছর কেটেছে। একজন বলেছেন, শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ করতে। শিক্ষক রাজনীতির প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হলে ওনাদের জন্য কথা বলার লোক থাকবে না। আমি তাদের রাজনীতির পক্ষে। কোনো না কোনো প্ল্যাটফর্ম থাকবে যেখান থেকে কথা বলতে হবে। সমস্যার সমাধান তুলে আনতে হবে।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ ও মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে শহরের শিল্পকলা একাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘর হচ্ছে সবচেয়ে বড় শিক্ষার জায়গা। বাচ্চাদের সহানুভূতিশীল হওয়ার ও মানুষের পাশে থাকার শিক্ষা দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, নিয়োগ ও পদায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের কাজ চলছে। ২০২৩ সাল থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে। ডিজিটাল ডিভাইসের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থা দূর হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি নিশ্চিতকরণের এই কাজ আনুষ্ঠানিকভাবেই সবাইকে জানানো হবে।
২০২৩ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন নকলের কোনো বিষয় নেই, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে কাজ করা হচ্ছে। ২৬ হাজার বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে বাকি বিদ্যালয়েও হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ্, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. নুরুল আমিন চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন।
শিক্ষক সুমনা তালুকদার রিম্পি ও বিপ্লব দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তৃতা দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত মায়েরাও নিজ নিজ এলাকার স্কুল, শিক্ষার পরিবেশ এবং প্রাথমিক শিক্ষায় করণীয় নিয়ে কথা বলেন। বিকেলে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী।