মোঃ মোমিন ইসলাম
প্রতিনিধি, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব সম্পদ ব্যবস্হাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সানজানা আহসান ছোয়া সহ একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের দাবি সাজন সাহা সহ তাকে মদদ দাতা বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রের স্হায়ী বহিষ্কারের দাবি বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট জানিয়ে আসছে পাশাপাশি ক্লাস পরিক্ষা বর্জনসহ নানা কর্মসূচি তারা পালন করে আসছে। ঘটনার পালাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়নি কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এতে ঘঠনার ১ সপ্তাহ পেরলেও জমা পড়েনি কোন রিপোর্ট তদন্ত কমিটির। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা আবারও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ পালন করে। এসময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সাজন সাহার কুশ পুত্তলীকায় জুতার মালা পড়িয়ে দেয়।এসময় ছোয়া বলেন আমি শিক্ষকদেরকে বাবার মতো সম্মান করি। তারা আমাদের পিতা – মাতার মতো কিন্তু শিক্ষক নামক এসব জানোয়ারদের ঘৃণা করি এবং আমার ভাবতে ও অবাক লাগে এরকম একজন নিকৃষ্ট ব্যক্তি আমাদের শিক্ষক।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন রিপোর্টের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা রাত দিন শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনোই একটি সিদ্ধান্ত হুট করে নিতে পারে না। তাই আমাদের তদন্ত রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই শেষের যদি ঘটনার সত্যতা মিলে তাহলে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।অপরাধী যেই হোক না কেন সে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তার শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
অপরদিকে শিক্ষার্থীদের এসব দাবি মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণেদিত উল্লেখ করে মানব সম্পদ ব্যবস্হাপনা বিভাগের শিক্ষকরা একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এসময় মানববন্ধনরত এক শিক্ষক তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সন্তান তুল্য। তাদের ব্যথায় আমরা ও ব্যথিত হবো এটিই স্বাভাবিক। তবে তারা যে ধরনের একটি উদ্দেশ্য প্রণেদিত অভিযোগ তুলেছে তা শিক্ষকদের সম্মান হত্যার সামিল। তাই আমি তাদেরকে বলবো এ ধরনের বানোয়াট অভিযোগ থেকে সরে এসে পুনরায় ক্লাস এবং পরিক্ষায় যোগদান করতে। পাশাপাশি নিন্দা জানাচ্ছি যারা একজনের দোষ অন্যজনের ঘাড়ে চাপিয়ে বিকৃত উল্লাসে মেতে উঠে সমগ্র বিভাগের সম্মানহানি করছেন। আমি আশা করি তারা শিগগিরই ক্লাসে ফিরে আসবে যা আমাদের সকলের জন্যই মঙ্গলজনক।