প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গবেষণা ছাড়া কোনো কিছুতেই উৎকর্ষ লাভ করা যায় না। গবেষণার বিষয়ে সরকার সবসময়ই আন্তরিক। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ। তাছাড়া বিজ্ঞানকে বঙ্গবন্ধুই বেশি গুরুত্ব দিতেন। পঁচাত্তরের পর স্বৈরশাসকরা গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গবেষণা অনুদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, পাবনাতেই দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হবে। এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া খুব শিগগিরই স্যাটেলাইট দুই উৎক্ষেপণ করা হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, একেকটা দলের নীতি এবং দেশপ্রেমের বিষয় থাকে। আওয়ামী লীগ সব সময় বিশ্বাস করে- নিজেরা করব, কারও কাছে হাত পাতব না। সরকারের মূল লক্ষ্য মানবসম্পদ স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া। অনুদান ও ফেলোশিপের টাকা জনগণের। তাই গবেষণা যেন জনকল্যাণে কাজে লাগে সেদিকে লক্ষ রাখার আহ্বান জানান তিনি।সরকারপ্রধান বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করি বিজ্ঞানীদের ওপর। বিজ্ঞান, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবে দেশ। এ সময় তিনি বলেন, অনূর্ধ্ব ১৬ দলকে ডেকে প্রাইজমানি দেব।অনুষ্ঠানের শুরুতে ৫৪ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২৫ জনকে ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ১০ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং ১৯ জনকে বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।