মোঃ মোমিন ইসলাম
প্রতিনিধি,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযুক্ত ২ শিক্ষক অধ্যাপক সাজন সাহা এবং একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজওয়ান আহমেদ শুভ্রর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে।অভিযোগের ১৩ দিন পেরেলেও তদন্ত কমিটির কোন রিপোর্ট প্রকাশিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলা সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান অনুষদ এবং বিবিএ অনুষদ সহ প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে । আন্দোলন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর বন্ধ কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত না করেই অভিযুক্ত ঐ দুই শিক্ষককে আজ ১৩ তারিখ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ছুটিতে পাঠানো হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আরো ক্ষুব্দ হয়ে উঠে এবং তারা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে। খাতিদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলতে থাকবে। এসময় আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে পরিষ্কার না করে উল্টো তাদের ছুটি দিয়ে হানিমুনে যাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানায় । আজ প্রশাসনের বিলম্বিত,অবহেলা এবং অপরাধীদের শাস্তি না দিয়ে তাদের উল্টো সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই আমরা মহাসড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি যে প্রশাসন অপরাধীকে বিচারের আওতায়না নিয়ে আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলতে থাকবে প্রয়োজনে আরো কঠোর হতে কঠোরতার আন্দোলন আমরা করতে বাধ্য হবো।