নুরুজ্জামান হোসেন
হিলি দিনাজপুর
পবিত্র মাস মাহে রমজানের দিন ইফতারে ফলের স্বাদে তৃপ্তি মেটাতে হিলি বাজারে বিক্রি শুরু করেছে রসালো ফল তরমুজ। এখনো তরমুজের মৌসুম শুরু না হলেও বাজারে এসেছে তরমুজ । এ তরমুজগুলো পিস হিসেবে নয়, বিক্রি করা হচ্ছে কেজি দরে। কেউ পিস হিসেবে নিতে চাইলে কেজি দরের চেয়ে দ্বিগুণ দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি তরমুজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে কিনতে হচ্ছে গোটা তরমুজ।
বুধবার (১৩ মার্চ) হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে উঠেছে রসালো ফল তরমুজ। তিন থেকে দশ কেজি পর্যন্ত ওজনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। যে তরমুজ ছোট সেগুলোর দাম একটু কম। আবার যে তরমুজের ওজন বেশি, সেগুলোর দামও একটু বেশি। ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে ব্যবসায়ীরা কেটে দেওয়ার গ্যারান্টিও দিচ্ছেন। তরমুজ কেটে চির করে লাল অংশও দেখিয়ে দিচ্ছেন।
হিলি বাজারে তরমুজের ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বুলু বলেন , প্রতি কেজি তরমুজ ৮০ টাকা দাম হিসেবে বেশি। কথা হলো, তরমুজ তো কেজি হিসেবে বিক্রি করার কথা না। বেশি দামে কিনলে পিস হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করুক। তারা কেজি হিসেবে বিক্রি করবে কেন? আড়ত থেকে তারা পিস হিসেবে কিনে এনে কেজি হিসেবে বিক্রি করবে। সরকারকে এগুলো দেখতে হবে। এ দেশের মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।
একই বাজারের তরমুজ বিক্রেতা আবদুল মান্নান বলেন, আমরা প্রতি কেজি তরমুজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি।বাংলা হিলি বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, আপেল, কমলা ও মাল্টা সহ অন্যান্য ফলের পাশাপাশি বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। কেউ বিক্রি করছেন ছোট তরমুজ, আবার কেউ বিক্রি করছেন বড় তরমুজ। তরমুজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় অপেক্ষা করেও বেশি ক্রেতাকে তরমুজ কিনতে দেখা যায় নি । তরমুজের ভরা মৌসুম না হওয়ায় অনেক সময় কাটার পর তরমুজ সাদাও দেখা গেছে। আবার কিছু কিছু �
তরমুজের ভেতর লালও দেখা গেছে।
মৌসুমের তুলনায় বর্তমানে তরমুজের দাম একটু বেশি বলে স্বীকার করেন ফলের দোকানদার জাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের একটু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
আড়ত থেকে কেজি দরে না পিস হিসেবে ক্রয় করেছেন? জানতে চাইলে এই তরমুজ বিক্রেতারা বলেন, সকলেই পিস হিসেবে ক্রয় করেছি। তবে নতুন ফল হিসেবে দাম অনেক বেশি।
হিলি বাজারের বিক্রেতারা জানান, আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি তরমুজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একেকটি তরমুজের ওজন দুই কেজি থেকে প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত।
তরমুজের দাম গত বারের তুলনায় এবার বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে একজন বিক্রেতা বলেন, তরমুজের মৌসুম এখনো আসেনি। মাত্র পাকতে শুরু করেছে। আরও ২০-২৫ দিন পরে তরমুজের মৌসুম এলে দাম কমে যাবে।
শাকিল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে মাত্র তো তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। তাই দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। পিস হিসেবে বিক্রি করলে দাম কমে যেত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কেজি হিসেবে বিক্রি করছে না। আর কেউ পিস হিসেবে নিতে চাইলে কেজির চেয়েও বেশি দাম বলছে। পিস হিসেবে চাইলে অনেক ব্যবসায়ীরা রাগ করেন ।