মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আদালতে মামলা চলা অবস্থায় একটি বাজারের ২৮ শতক জমিতে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন এমপি এর ছবি ব্যবহার করে ব্যানার ও সাইনবোর্ড টাঙিয়েছিলেন হামিদুর রহমান নামে এক যুবলীগ নেতা। খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে যুবলীগ নেতাকে ডেকে ব্যানার ও সাইনবোর্ড অপসারণ করিয়েছেন সংসদ সদস্য। একই সাথে আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত দুপক্ষকে দ্বন্দে জড়াতে নিষেধ করেছেন। সম্প্রতি গত বুধবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ধনিরহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে। সদ্য নির্বাচিত হওয়া সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনের এমন উদ্যোগে প্রশংসার ভাসছেন তিনি। জানা গেছে, ভানোর ইউনিয়নের ধনিরহাট বাজারের ২৮ শতক জমির বিরোধ নিয়ে ঐ এলাকার স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সচিব হামিদুর রহমানের একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা হামিদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: দবিরুল ইসলাম ও তাঁর বড় ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য’র ছবি ব্যবহার করে সাইনবোর্ড ও ব্যানার টাঙিয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, আদালতে বিচারাধীন জমি দখল নিতে এমপি’র ছবি ব্যবহার করেছিলেন ঐ যুবলীগ নেতা। তবে স্থানীয় এমপি’র কানে যাওয়ার সাথে সাথে ব্যানার ও সাইনবোর্ড অপসারণ করতে নিজেই ছুটে এসেছেন। নির্বাচনের সময় অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বেশ খুশি ঐ এলাকার মানুষ। অপসারণের পর ব্যানার যুবলীগ নেতা হামিদুর রহমান বলেন, এমপি সাহেব ঘটনাস্থলে এসেছিলেন, নির্দেশনা দেওয়ার সাথে সাথে ব্যানার ও সাইনবোর্ড অপসারণ করে নিয়েছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন জমির প্রকৃত মালিককে জমি ফিরে পেতে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
জমির মালিক দাবি করা আরেক পক্ষ স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, এমপি’র ছবি ব্যবহার করে দখলের চেষ্টা করেছিল। আমরা বাধা দিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও এমপি’র ছবি ছিড়ে আমাদের মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এমপি সাহেব এগুলো অপসারণ করে আমাদের চিন্তামুক্ত করেছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বলেছেন, আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত দুপক্ষকে দ্বন্দে জড়াতে নিষেধ করেছেন। জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও- ২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, বাজারের বিতর্কিত জমিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার পিতা সাবেক সংসদ সদস্য এবং আমার ছবি ব্যবহার করে সাইনবোর্ড টাঙানোর বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে দুপুরে অবগত করে। আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসে সেগুলো অপসারণ করিয়েছি। জমিটি নিয়ে যেহেতু বিরোধ রয়েছে, আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবে। তিনি আরও বলেন, আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে কেউ অন্যায় করলে আমাকে অবগত করবেন। এটি নির্বাচনের আগেও বলেছিলাম, এখনও বলছি। কোন অন্যায়কে আমি প্রশ্রয় দেয়নি, আগামীতেও দিবো না।