পলিতে ভরাট ডুমুরিয়ার সিংহভাগ পাউবোর স্লুইচ গেটের ভেতর ও বাহির। তার ওপর দখলদারদের দৌরাত্ম বহুগুনে বৃদ্ধি পয়েছে। এসব জায়গা খনন না হলে আসন্ন চলতি বর্ষা মৌসুমে পানির নিচে থাকবে ডুমুরিয়া। উপায় খুজঁতে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে স্লুইচ গেটের ভরাট জায়গা পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। নিচ্ছেন বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
সরেজমিন যেয়ে এবং একাধিক দায়িত্বশীল সুত্রে এসব সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। শোলমারী নদীতে ১০ বেণ্টের স্লুইচ গেটের ভেতর ও বাহির পলিতে অনেক আগেই ভরাট হয়েছে। পাশে কানাইডাঙ্গা এক বেন্টের গেটের ভেতর-বাহির ভরাট হয়ে গেছে। তার মধ্যে ভরাট নদীর অনেকাংশ বেশ কিছু ভূমি দস্যু বাঁধ দিয়ে দখলের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। এসব রোধে এবং করনীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিন যেয়ে দেখেন গুটুদিয়া গ্রামের ওয়াপদার মাথার হাফিজ গোলদার এস্কেবেটার দিয়ে কাইনডাঙ্গা গেটের অদুরে খাল কাটিং করে মৎস্য ঘের তৈরি করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই এস্কেবেটরের ড্রাইভার পালিয়ে যায়। এদিকে তিনি সরেজমিন যেয়ে ওই খাল খননের জন্য প্রকৃত তথ্য চেয়ে পাঠান খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে। এসময়ে উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আগামী সোমবার সকল প্রকার তথ্যাদি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে হাজির হবেন বলে জানান। সরেজমিন পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সকল নিয়ম মেনে কানাইডাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি খাল খনন করা হবে। সেক্ষেত্রে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভান্ডারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দে, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহাতার হোসেন, পাউবোর এসও আবুল হাসনাত ও ইউপি সদস্য আছাদুজ্জামান মিন্টু।