ডুমুরিয়ায় জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ২ দিন ব্যাপী ৩০ জন মৎস্যচাষীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড একুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্প (GCP/BGD/055/LDF) মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। মঙ্গবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে ৩০জন মৎস্য চাষীদের মাঝে ২দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয় ।
উক্ত প্রশিক্ষণে সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন, কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড একুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্প (GCP/BGD/055/LDF) মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা সহকারী পলাশ কুমার বালা, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা মেরিন ফিশারিজের টেকনিক্যাল অফিসার প্রনব কুমার ও মোঃ আশিকুর রহমান প্রমুখ।।
বর্তমান সময়ে মাছ চাষে বাংলাদেশের সফলতা অনেক, এই সফলতাকে ধরে রেখে মাছ চাষকে আরও বেগবান করতে হলে মৎস্য চাষ তথা মৎস্য চাষীদেরকে লাভবান করতে হবে। ধারাবাহিকভাবে মাছ চাষকে লাভজনক পেশা হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আমাদেরকে কিছু বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমে বলতে হবে আদর্শ পুকুর ব্যবস্থাপনার কথা। যদি সঠিক পদ্ধতি মেনে পুকুর ব্যবস্থাপনা করা যায়, বিশেষ করে যথাযথ নিয়ম মেনে সঠিক মজুদ ঘনত্বে পোনা মজুদকরন, নিয়মিত নমুনায়ন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, সুষম খাবার ব্যবস্থাপনা করা যায় তবে মাছ চাষে সফলতা অবশ্যক ।
পুকুর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে চাষকালীন সময়ে দ্রবীভূত অক্সিজেন (DO) এর পরিমান ঠিক রাখা এবং তা করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে অন্যথায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। অপরদিকে আমাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে FCR উন্নত করার দিকে। পুকুরে যদি পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাবারের মজুদ থাকে তবে সঠিক মজুদ ঘনত্বে নির্ধারিত মাত্রায় খাদ্য প্রয়োগে সর্বোচ্চ উৎপাদন সুনিশ্চিত হবে। সে ক্ষেত্রে ফলশ্রুতিতে প্রয়োগকৃত খাবারের FCR উন্নীত হবে। ফলন যত ভালো হবে ততই উদ্দীত্ত মাছ ও চিংড়ি রপ্তানি খাতে সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং মাছ ও চিংড়ি হতে নিত্য নতুন Value added product তৈরির নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে।
সেক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আমাদের দেশে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য মাছ ও চিংড়ি যেন যথাযথ স্ট্যান্ডার্ড হয় যেমন- তেলাপিয়ার ক্ষেত্রে
তা-যেন দুর্গন্ধ মুক্ত হয় এবং এ্যান্টিবায়োটিক ও জীবাণুমুক্ত হয়, অপরদিকে বিশ্ববাজারে পাঙ্গাশ মাছের ক্ষেত্রে হোয়াইট ম্যাসল ফিলে (Fillet) এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। পুকুরের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি থাকলে বা চাষকৃত পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে গেলে ধরণের দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। মাছ চাষের ক্ষেত্রে আদর্শ পুকুর ব্যবস্থাপনার কোন বিকল্প নেই।