গত ০১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বগুড়া জেলার সদর থানাধীন রাজাপুর গ্রামে এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় একই গ্রামে তার চাচার বাড়িতে যায়। পথিমধ্যে ধৃত আসামী মুন্না (১৯)’র বাড়ির সামনে ভিকটিম পৌঁছলে ধৃত আসামী ভিকটিমকে রান্না দেখানোর ছলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। আসামীর বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় ভিকটিম সেখান হতে চলে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু ধৃত আসামী তাকে যেতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে আসামী ভিকটিমকে সুকৌশলে তার বসতবাড়ীর শয়ন ঘরে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সুরাহা না হওয়ায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গত ১৩ মে ২০২৪ তারিখে বগুড়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে সদর থানার মামলা নং-৩৮, তারিখ-১৩/০৫/২০২৪ খ্রিঃ,ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী/(২০০৩) এর ৯(১) রুজু হয়। এ ঘটনার পর থেকেই র্যাব আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ফলশ্রুতিতে ২১ মে ২০২৪ ইং তারিখ ২২০০ ঘটিকায় র্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়ার নেতৃতে একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন শেরপুর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক মোঃ মুন্না (১৯), পিতা- মোঃ আব্দুল মমিন, সাং- রাজাপুর, থানা ও জেলা- বগুড়া’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। ধৃত আসামী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় গিয়ে পাসপোর্ট, মেডিকেল সম্পন্ন করে গোপনে বগুড়া ফেরত আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সদর থানা, বগুড়ায় সোপর্দ করা হয়েছে।