বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রিটি পাওয়ার সেসব এলাকায় দেয়া দরকার যেগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে রাজনৈতিক নেতারা নিয়ন্ত্রণ করছেন সেখানে ম্যাজিস্ট্রিটি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা সৃষ্টি করা সমীচীন বা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না৷ এ সরকারকে বিষয়টি পূর্ণ বিবেচনা করা প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের সাথে সাক্ষাৎ ও সাহায্যকরণ অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি।

অন্তবর্তী সরকারের কাছে শেখ হাসিনার বিচার চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানের, সাথে ২৪ সালে যুদ্ধ করতে হল দেশের একটি রাজনৈতিক দলের সাথে। স্বৈরাচার হাসিনা সারকারের আমলে ৭০০ বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সহ সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিঃস্ব করা হয়েছে। তাদের আমলে ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ জনকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি নির্বাচন চাই৷ আগামীতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও পার্লামেন্ট দেখতে চাই৷ যাতে রাজনীতিবিদেরা কাজ করতে পারেন, রাজনৈতিক অবস্থা ফিরে আসে৷ সেই সাথে আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।

স্বৈরাচার হাসিনা পতনের আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ে ৪টি শহীদ পরিবার ও ২৯ জন আহত সদসকে ১৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেয়া হয়৷

এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।