তথাকথিত মিডিয়া ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বর্তমান ফ্যাসিস্ট ও ইসলাম বিদ্বেষী সরকার সাঈদীকে ফাঁসি দিয়ে রাজাকার প্রমাণ করতে চেয়েছিল। নতুন প্রজন্মের কাছে সাঈদীকে, ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে ইসলামী জাগরণ বন্ধ করতে তারা সকল প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
এতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিচারপতি নিজামুল হকের সাঈদীকে ফাঁসি দেওয়ার গোপন ভিডিও পৃথিবীবাসী আজও ভুলেনি। সরকার গেছে পাগল হইয়া তারা দুটি রায় চায়। এটা কোন বিচার ছিল না, এটা বিচারের নামে অবিচার। এগুলো ছিল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে সাজানো একটি নাটক।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপে তারা সাঈদীকে ফাঁসি দিতে ব্যর্থ হয়ে অন্যায় ভাবে তাকে যাবজ্জীবত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। জেলের অন্ধ কারাগারের মধ্যে দীর্ঘ ১০টি বছর অনাদরে অবহেলায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। ৮৩ বৎসরের একজন বৃদ্ধ হার্টের রোগীকে যেভাবে চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিল সরকার তা করেনি। হসপিটাল এনে মেডিক্যাল নেগলেজেন্সির মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়।’
গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের ওল্ডহাম শহরে দা গ্রান্ড ভেনু হলে ওল্ডহাম মুসলিম সোসাইটির উদ্যোগে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহ) স্মরণে আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে, কমিউনিটি লিডার সৈয়দ বদরুল আলম, মোহাম্মদ মাসুম আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় শোক সভায় বক্তব্য প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়েখ আবুল হোসাইন খাঁন। তিনি বলেন, সাঈদী সাহেবের সাথে তার জীবন ঘনিষ্ঠ অনেক স্মৃতিচারণ উল্লেখ করে বলেন, সাঈদী সাহেব খুব অমায়িক, বিনয়ী, নির্লোভ, সদা হাস্যজ্জল, পরোপকারী একজন আলেম ছিলেন। তিনি খুব সহজেই মানুষকে আপন করতে পারতেন। তার প্রাঞ্জল হৃদয় গাহি বক্তব্য মানুষকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করতো। যেসব বিদেশী শক্তি বাংলাদেশে ইসলাম উত্থান হোক চায়না, বাংলাদেশকে যারা সেকুলার বানাতে চায়, তারাই সাঈদী সাহেবকে বন্দী করে নির্মমভাবে শহীদ করেছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক আইন ও রাজনীতি বিশ্লেষক, হিউম্যান রাইট ডিফেন্ডার ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা
বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে মন মাতানো নাশিদ পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নাশিদ শিল্পী আল আমিন সাদ এবং তালহা বিন শফিক।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইয়াহইয়াহ, মোহাম্মদ নানু মিয়া, মোহাম্মদ ফারুক আলী মতলিব, মাওলানা ফেরদৌস চৌধুরী, মাওলানা নোমান আহমেদ, মোহাম্মদ আনোয়ার আলী জিতু, কাউন্সিলর ইদু মিয়া (আস্টন), আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার (আস্টন), মিজান চৌধুরী, নিক্সন চৌধুরী, মোহাম্মদ সমুজ। এসময় বিভিন্ন মসজিদের খতিব, আলেম উলামা, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সমাজসেবী, রাজনীতিবিদসহ নানা পর্যায়ের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিশেষে মহান আল্লাহর কাছে সাঈদীর শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করে সমগ্র মুসলিম উম্মার জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।