• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
  • ইপেপার
শিরোনাম:
ইতিহাস মুছে ফেলে নতুন ইতিহাস লেখা যায় না দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে মত সোহরাওয়ার্দী কলেজের সকল রাজনৈতিক দলের মাছ ধরার ট্রলারে জলদস্যুদের হামলা-লুট, তিন জেলে গুলিবিদ্ধ নোয়াখালীতে চোর সন্দেহে গণপিটুনি, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মৃত্যু বুলডোজার ভাড়া করা ব্যক্তিদের নিয়ে যা বললেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ভ্যালেন্টাইন গিফট কিনতে ছাগল চুরি, ‘আটক’ প্রেমিক শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েও উসকানি দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করছে: জামায়াত আমির নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকের পর আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ট্রাম্পের মব জাস্টিস চলতে থাকলে দেশের জন্য ভালো হবে না: নুরুল হক নুর আটকের পর ডিবি কার্যালয়ে শাওন

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া আ’লীগ

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৬৬
সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া আ’লীগ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের স্মরণকালের ভয়াবহ পতন ঘটলেও বিন্দুমাত্র অনুশোচনাবোধ নেই দলটির। উল্টো একের পর এক ইস্যু তৈরি করে দেশকে কিভাবে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়া যায় এবং ঠুনকো বিষয়কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ইস্যু বানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করা যায়- তারই ছক কষছে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে খোদ আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নেন। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রায় সব পর্যায়ের নেতা-মন্ত্রী ও এমপিরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এখনো সক্রিয় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্যে না এলেও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনেকেই ভেতরে ভেতরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে বিদেশে গেলেও দেশের অভ্যন্তরে থাকা বাছাইকৃত কিছু নেতা-কর্মীর সাথে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ওই নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাইবার যোদ্ধারা অনলাইন-অফলাইনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। দুর্গা পূজা উপলক্ষে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের একটি পূজামণ্ডপের অনুষ্ঠান মঞ্চে দুটি গান পরিবেশন করেন। পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্মসম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণেই তারা গান পরিবেশন করলেও আওয়ামী লীগের সাইবার যোদ্ধারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রং চং লাগিয়ে তুলে ধরলে এটা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। রীতিমতো ফেসবুকে একটি মল্লযুদ্ধ শুরু হয়। চাপের মুখে দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়। তাতীবাজারসহ কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ও পূজামণ্ডপে ইসলামী সংগীত পরিবেশনের বিষয়টি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলে আঘাত হিসেবে দেখানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আওয়ামী লীগ দেখাতে চায়- এ দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা ভালো নেই।

জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিত্যপণ্যের বাজারের চিত্র খারাপ অবস্থায় থাকলেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হিসেবে উল্লেখ করে দলটির সাইবার যোদ্ধাদের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে নিয়মিতই জোরালোভাবে প্রচারণা চলছে। দলটির সাইবার যোদ্ধারাও সেটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হলেও দলটির নেতা-কর্মীরা তা এড়িয়ে যেতে চাইছেন। নিত্যপণ্যের বাজার চড়ার বিষয়টি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ইস্যু বানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলতে চায় এবং সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চায়।

গত ৫ আগস্টের পর গ্রাম পুলিশের আন্দোলন, আনসারদের আন্দোলন, পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষ, সরকারি-বেসরকারি চাকুরিজীবীরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এখনো দেশের বিভিন্ন গ্রাম-পাড়া মহল্লায় নানা ইস্যুতে সংঘাত সংঘর্ষ লেগে আছে। এসবের পছনে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা কলকাঠি নাড়ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়াও ছাত্র-জনতার ওপর চিহ্নিত হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হলেও আওয়ামী লীগ ঢালাওভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ তুলছে। গত ৫ আগস্টের পর ১৯ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা ও মাদক ব্যবসায়ী শামীম মোল্যা এবং চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে নিহত হন তোফাজ্জল হোসেন। ওই দুটি ঘটনাকে ‘মব জাস্টিসের’ ধুয়া তুলে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোর শিক্ষার্থীদের ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন ফজলুল হক মুসলিম হলের একাধিক ছাত্রলীগ নেতা।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টের মাঝামাঝি দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় কৃষিপণ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘাটতি মোকাবিলায় পণ্য আমদানি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ার কথা। কিন্তু ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ না থাকায় নিত্যপণ্যের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

পণ্য আমদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিকে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায় মন্দা, অন্যদিকে বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি তাঁদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এ অবস্থায় বেশি দরে পণ্য এনে বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ফলে চাহিদা থাকলেও তাঁরা যথেষ্ট পরিমাণে নিত্যপণ্য আমদানির পথে যাচ্ছেন না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুই মাসে (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের আমদানি কমে গেছে। বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের দামও বাড়ছে। ফলে সরবরাহ না বাড়লে সামনে এসব পণ্যের ঘাটতির শঙ্কা রয়েছে।

আমদানি কমায় নিত্যপণ্যের সরবরাহে চাপ তৈরি হয়েছে। তাতে ময়দা, সয়াবিন তেল, পাম তেল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম ১ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে। চিনির শুল্ক কমানোর কারণে দাম কেজিপ্রতি তিন টাকা কমেছে। যদিও প্রতি কেজি চিনিতে কমবেশি ১১ টাকা শুল্ক–কর কমানো হয়েছে। এর প্রধান কারণ, চিনির সরবরাহ কম।

বিগত সরকারের আমলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে মানুষের জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের গত দুই মাসে নিত্যপণ্যের দাম কমেনি; বরং বেড়েছে।

বণিক বার্তা

‘বিসিএসে ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের উত্তীর্ণের হার খুবই কম’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। নারীদের জন্য তা ৩৭ বছর করার পক্ষে মত দিয়েছে সরকার গঠিত পর্যালোচনা কমিটি। চাকরির ক্ষেত্রে তরুণ-তরুণীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ থাকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস)। প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের উত্তীর্ণের হার খুবই কম। সর্বশেষ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হওয়া ৪৩তম বিসিএসেও যারা বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ২৯ বছরের বেশি বয়সের প্রার্থী ছিলেন কেবল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

বর্তমানে দেশে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায়। আর অবসরে যাওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৯ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা ৩২ বছর, অবসরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৬০ বছর নির্ধারণ করা আছে। এর মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে ২০১২ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন। চাকরিপ্রত্যাশীরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে এ নিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়ে আসছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। ‘চাকরিতে বয়সের আবেদনসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’ ব্যানারে করা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

সমকাল

কৌশলী বিএনপির ‘সমন্বয়’ পরিকল্পনা, বাদ জামায়াত-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে বিএনপি জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সামনে রেখে তারা এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ‘নির্বাচনী সমন্বয়ে’ জোর দিচ্ছে। আগামীর রাজনৈতিক পথচলা, আসন বণ্টন ও ক্ষমতার অংশীদারিত্ব প্রশ্নে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সমন্বয় করেই ভোটযুদ্ধে লিপ্ত হতে চায় বিএনপি। ফলে দলটির পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়ছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও জামায়াতে ইসলামী।

সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রশ্নে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না বিএনপি। জনরোষে পালিয়ে যাওয়া দলটির ব্যাপারে নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘উচ্চাভিলাষী’ হয়ে ওঠা জামায়াতের সঙ্গে তৈরি ‘দূরত্ব’ ঘোচানোর কথা ভাবছেন না বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। বরং জামায়াত ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যান্য দলের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, লক্ষ্য অর্জনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৪২ দল এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী ৬৪ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে বর্ষীয়ান দুই বাম নেতা দেশের উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আগামী দিনের পথচলা নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের মধ্যে আরও বৈঠক হতে পারে।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘২ লাখ অজ্ঞাতনামা আসামি’। খবরে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও পরের বিভিন্ন বিক্ষোভ, সংঘর্ষের ঘটনায় সারা দেশে একের পর এক মামলা হচ্ছে। একটি মানবাধিকার সংস্থার হিসাবে, গত দুই মাসে সহিংসতার ঘটনায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে ৫০৬টি। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে করা এসব মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫৪৭ জনকে। অথচ এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯০।

বিভিন্ন থানায় করা হত্যা মামলার এজাহার পর্যালোচনা করে অজ্ঞাতপরিচয় বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করার সত্যতা পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের একটি মামলায় সর্বোচ্চ অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৪০ হাজার।

যেসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আসমির সংখ্যা বেশি সেগুলোর বেশিরভাগেরই বাদী পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মী। অভিযোগ উঠেছে, জমিসহ ব্যক্তিগত বিরোধের ঘটনায়ও প্রতিপক্ষকে মামলায় জড়ানো হচ্ছে।

কালের কণ্ঠ

আট প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি লোপাট!-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের একান্ত কিছু প্রকল্প এখন প্রশ্নবিদ্ধ, যেসব প্রকল্প তাঁকে মহান কিংবা মানবিক বানানোর কাজে ব্যবহার হতো। তবে নিজেকে মানবিক ও মহান বানানোর পেছনে তিনি কখনো খরচ নিয়ে ভাবতেন না। তাই তাঁর একেকটি চাওয়ার মূল্যও অনেক ব্যয়বহুল ছিল। এ রকম অন্তত আটটি প্রকল্পে তিনি হাত খুলে খরচ করেছেন, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা।

অথচ হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প মানুষের কাজে আসছে সামান্যই। আর জনগণের ট্যাক্সের টাকার অপচয় হলেও তাঁকে খুশি করতে তৎপর ছিলেন তখনকার ডিসি-ইউএনওরাও। তথ্য-উপাত্তের বিশ্লেষণ বলছে, আশ্রয়ণ ও বেপজা-বেজার আওতায় এসব প্রকল্প এখন অনেকটাই অন্তঃসারশূন্য প্রকল্পে রূপ নিচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন ও আইএমইডি সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রিয় প্রকল্পের নাম আশ্রয়ণ-২। এ প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধুর নামে গৃহহীনদের ঘর দিতে আট হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়। অথচ যাদের ওই ঘর দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই ওই সব ঘর ব্যবহার করে না। নিম্নমানের কাজের কারণে বেশির ভাগ ঘরই এখন পড়ে নষ্ট হচ্ছে।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার শিরোনাম ‘১৩ বিষয়ে অটো পাশেও অকৃতকার্য লাখো শিক্ষার্থী’। খবরে বলা হয়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। বেলা ১১টায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হবে। অন্যান্য সময়ে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না। স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানেরাই ফল প্রকাশ করবেন বলে জানা গেছে।

এবার এইচএসসি বা সমমানের মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। সাত বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হলেও ১৩ বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। অর্থাত্ ১৩ বিষয়ে ‘অটো পাশ’ দেওয়া হয়েছে। তার পরও কপাল পুড়ল লাখো শিক্ষার্থীর। কারণ ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে এবার অনুপস্থিত ছিলেন ৯৬ হাজার ৯৯৭ জন। আর বহিষ্কার হন ২৯৭ জন। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে কিংবা বহিষ্কার হলে সামগ্রিক ফলাফল অকৃতকার্য আসে। পরীক্ষার মাধ্যমে যে সাতটি বিষয়ের ফলাফল তৈরি করা হয়েছে, সেখানে কতজন ফেল করেছেন, সেটা জানা যাবে আগামীকাল।

২০২৩ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১৩ লাখ ১৩ বিষয়ে অটো পাশেও ৫৭ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থী। আর পাশ করেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। সেই হিসেবে ৩ লাখ ৭ হাজার ৭২৩ জন পরীক্ষার্থী ফেল করেন। তাদের মধ্যে ১৭ হাজার ৬৬০ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে ফেল করেন। আর ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৩ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করতে পারেননি।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘86 doctors, 136 students punished since August 5’ অর্থাৎ ‘৫ই অগাস্টের পর থেকে ৮৬ জন চিকিৎসক, ১৩৬ শিক্ষার্থীকে শাস্তি’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত দুই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেশের আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কমপক্ষে ৮৬ জন চিকিৎসক এবং ১৩৬ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন।

এসব প্রতিষ্ঠানের অফিস অর্ডার অনুযায়ী, চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন অধ্যাপক, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, দুইজন সহকারী অধ্যাপক ও ৪১ জন ইন্টার্ন।

শাস্তিমূলক পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ইন্টার্নশিপ ও একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত, হল থেকে বহিষ্কার ও মেডিকেল সার্টিফিকেট বাতিল। এছাড়া কাউকে কাউকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

আজকের পত্রিকা

‘অনিশ্চয়তায় সব বড় প্রকল্প’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর করতে ১৫টি বড় প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এসব প্রকল্পের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনটি পুরোপুরি ও আংশিক চালু করা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলোর কোনোটি নির্মাণাধীন, কোনোটি সমীক্ষা পর্যায়ে, আবার কোনোটি সমীক্ষা শেষে অর্থায়নের অভাবে থমকে আছে। এরই মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঘটনায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তাঁর আমলে নেওয়া এসব প্রকল্প।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো পর্যালোচনার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় চলমান প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে অনেক প্রকল্প মাঝপথে থেমে যাবে এবং অনিশ্চয়তায় পড়বে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) সূত্রমতে, ঢাকায় এখন পর্যন্ত ছয় ধরনের যোগাযোগকেন্দ্রিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেল, দুটি বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, আটটি রেডিয়াল সড়ক, তিনটি লিংক রোডসহ ট্রান্সপোর্ট হাব এবং বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগই একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা এসব প্রকল্প। কিন্তু বাস্তবায়নের যে বাস্তবচিত্র, তাতে প্রকল্পগুলোর কোনোটিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

TikTok

জরুরি হটলাইন