জোর করে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা কেড়ে নেওয়ার মামলা হয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বিরুদ্ধে। রাজধানীর পল্লবী থানায় করা মামলার মীমাংসা এখনো হয়নি। এরই মধ্যে আজ বিপিএলের ড্রাফট থেকে মাশরাফিকে দলে টেনেছে সিলেট।
গত আইপিএলেও এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলেছেন মাশরাফি। প্রথমবার তাঁর অধীনেই রানার্সআপ হয়েছিল সিলেট। গত মৌসুমেও তাঁর অধীনে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল তারা। কিন্তু তিনি বোলিং করছিলেন না নিয়মিত। মাঠে ফিটনেস সমস্যাও টের পাওয়া যাচ্ছিল। এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলে ফ্র্যাঞ্চাইজি দাবি করে, মাশরাফি মাঠে দাঁড়িয়ে থাকলেও চলবে তাদের।
পরে কয়েকটি ম্যাচ খেলেই জাতীয় সংসদের ব্যস্ততার কথা বলে টুর্নামেন্ট থেকে সরে যান মাশরাফি। এবার বিপিএলের আগে খেলোয়াড় ধরে রাখার সময় সিলেট তাঁকে ধরে না রাখায় (রিটেনশন) এবার আর মাশরাফিকে বিপিএলে দেখা যাবে কিনা, এ নিয়েও আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু আজ নিজেদের দ্বিতীয় ডাকেই মাশরাফিকে ডেকেছে সিলেট।
আজ সুযোগ পেয়েও ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে কাউকে নেয়নি সিলেট। প্রথমে ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে রনি তালুকদারকে নিয়েছে তারা। তারপর মাশরাফিকে ক্যাটাগরি ‘বি’ থেকে দলে নিয়েছে সিলেট। ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের মূল্য ৪০ লাখ টাকা।
অথচ, কিছুদিন আগেই মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাবেক মামলা সারোয়ার চৌধুরী। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাশরাফিকে। এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন-হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মো. ইমাম হাসানসহ আরও ১০-১৫ জন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন, জোর করে তার কাছ থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মাশরাফির কার্যালয়ে বসে হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র নামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সহমালিক সারোয়ার চৌধুরীর মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে ছিলেন।
এর জবাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি এক বিবৃতিতে অবস্থান জানিয়েছিল তাদের, ‘সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানাও মাশরাফি বিন মর্তুজার কখনো ছিল না। এখনো নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার যে কাগজপত্র বিসিবির কাছে আছে, সেখানেও মাশরাফির নাম নেই।’
বরং সারোয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করেছে বর্তমান মালিকপক্ষ, ‘অনেক ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্যের পারিশ্রমিক, পরিচালন খরচ ও আরো বিভিন্ন খাতে তার অংশের কয়েক কোটি টাকা বাকি রেখেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ তিনি নেননি। শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে গত বছরের আগস্টে তিনি নিজ থেকেই অন্যান্য স্বত্বাধিকারীর ওপর মালিকানা ছেড়ে দেন। বিসিবিকেও তিনি ই-মেইল দিয়ে নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান।’