ছাত্রশিবিরকে আদর্শগতভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে ঠেকানোর জন্য ‘রগকাটা’ অপবাদ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাকসু নির্বাচন বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
রাবি শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবিরকে আদর্শগতভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে ঠেকানোর জন্য এমন অপবাদ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। নব্বই দশকের শুরুর দিকে ‘শিবির হাত-পায়ের রগ কাটে’ প্রমাণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের একজন অধ্যক্ষকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট স্পষ্ট করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে এমন কেউ ভর্তি নেই, যার হাত পায়ের রগ কাটা।
পোশাকের স্বাধীনতা বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পোশাকের স্বাধীনতা সবার রয়েছে। ছাত্রশিবির তার আদর্শগত জায়গা থেকে ইসলামিক পোশাকের প্রচার করে। কেউ সেটা গ্রহণ করে, আবার কেউ করেনা, এটা তাদের নিজস্ব অধিকার। কাউকে জোর করে ইসলাম পালন করানো ছাত্রশিবিরের কাজ না ৷
শিবির কর্মীদের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিবিরের সদস্য হতে হলে তাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে, এছাড়া নিয়মিত কোরআন-হাদিস অধ্যয়ন, অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্থাৎ ইসলামে যেগুলো আদেশ করেছে তা পালন করা এবং ইসলামে যা হারাম কাজ, তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
‘ছাত্রশিবির মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যায়’- সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যে ভিডিওটা মানুষের সামনে এসেছে তা কাটিং করা। ছাত্রশিবির মানুষকে ইসলামিক বিধানাবলি চর্চা করায়। কীভাবে একজন মানুষ জান্নাতে যেতে পারে, সে বিষয়ে ধারণা দেয়। অর্থাৎ জান্নাতে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দেয়।
এর আগে শাখা শিবির সভাপতির নেতৃত্বে রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন শাখা শিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, দপ্তর সম্পাদক ইমরান নাজিরসহ বেশ কয়েকজন।