ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনেস্কি অনুরোধ করেছেন তিনি যেন যুদ্ধ থামাতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বাধ্য করেন।
জেলেনেস্কি বলেন, ভারত অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি দেশ। সেই প্রভাব খাটিয়ে মোদি যেন পুতিনকে বাধ্য করেন!
বিজ্ঞাপন
এর আগে নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া ও ইউক্রেন সফরে গিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ সমাপ্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকার পালনের কথা জানান। এতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি আগ্রহের সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করেন। এরপরেই চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল রাশিয়া সফরে যান।
জানা যায়, জেলেনেস্কি মোদিকে অনুরোধ করেছেন রাশিয়ার হাতে জিম্মি ১ হাজার শিশুকে ইউক্রেনে ফিরিয়ে আনতে তিনি যেন জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কির বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনেস্কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছেন তিনি যেন তার প্রভাব কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বাধ্য করেন, যাতে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া যুদ্ধ শেষ করতে বাধ্য হয়।
কারণ হিসেবে তিনি এসময় উল্লেখ করেন যে, ভারত বিশ্বে একটি অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে বড় একটি শক্তি। তাকে উপেক্ষা করা কঠিন। ভারত সস্তায় জ্বালানি শক্তি সরবরাহ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতিকে যেন ‘ব্লক’ করে দেয়।
এর আগে আগস্ট মাসে কিয়েভ সফরকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনেস্কিকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
সেসময় মোদি জেলেনেস্কিকে বলেছিলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রথম থেকেই ভারত শান্তির পক্ষে।
কিয়েভ বার বার দিল্লির কাছে হতাশা প্রকাশ করেছে যে, ভারত যেন পাশ্চাত্য ও রাশিয়ার সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে একটা ভারসাম্য রক্ষা করে চলে। কিন্তু ‘শান্তির’ কথা বললেও ভারত রাশিয়াকে সস্তায় তেল রফতানিসহ অস্ত্র বিক্রি করে আসছে।
জেলেনেস্ক বলেন, পুতিনের ওপর মোদির ‘দুর্দান্ত প্রভাব’ রয়েছে। ভারত চাইলে সত্যিকারের একটা পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে জেলেনেস্কি এটাও বলেন, আমি মনে করি না যে, শুধু মুখে বললেই আজ যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে