বাংলাদেশের রাজনীতি, আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগ সহ সকল সেবা প্রতিষ্ঠান জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোন ভুমিকা রাখতে পারছেনা। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও জনগণ রাষ্ট্রের কাছ থেকে তার নির্ধারিত সেবা পাচ্ছে না। যে বৈষম্যের কারণে আমরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই বৈষম্য এখনো বিদ্যমান। এর মূল কারণ রাজনৈতিক দৈন্যতা। এযাবত কালে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের প্রধান লক্ষ্যই হয়ে দাড়িয়েছিলো জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এমনকি বিচার বিভাগকেও দলীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার মাধ্যমে কিভাবে জনগণের টাকা লুটপাট করবে, কিভাবে তারা চিরকাল ক্ষমতার চেয়ার দখলে রাখবে সেই প্রচেষ্টা করে গেছে। কিন্তু ৫ ই আগষ্টের ছাত্র- জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশবাসী আর এই কলুষিত রাজনীতি দেখতে চায় না। ফলে আমাদের এই দেশকে জনরাষ্ট্রে পরিনত করতে হলে নতুন রাজনীতি এবং নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে দাবি করেছে এবি পার্টি। আজ আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে নতুন সংগঠকদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এই বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির নেতারা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর মিনার বলেন, আমরা বাংলাদেশকে কল্যানরাষ্ট্র হিসেবে গঠন করতে চাই। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে গত ৫০ বছরে কোন রাজনৈতিক দলই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে তাদের সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। যে যখনই ক্ষমতায় এসেছে তারাই জনগণের দোহাই দিয়ে তাদের সম্পদ লুট করে নিজেরা সম্পদশালী হয়েছে।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে এখন আরও সুস্পষ্ট হচ্ছে দেশের শত্রু মিত্র কারা। আমাদের রাজনৈতিক কর্মীদের প্রথম কাজ হচ্ছে দেশ ও জাতির শত্রু মিত্র চিহ্নিত করা। রাজনৈতিক দল গুলোর প্রধান কাজ জনগণের সমস্যা চিহ্নিত করা এবং জনগণের সামনে এর সমাধান উপস্থাপন করা। কিন্তু বাস্তবে আমরা এর কিছুই বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দেখতে পাচ্ছি না। তাই এবি পার্টি মনে করেছে তারা জনগণের সমস্যা চিহ্নিত করবে এবং তার সমস্যা জনগণের সামনে উপস্থাপন করবে। যেটাকে আমরা বলছি সমস্যা সমাধানের রাজনীতি। আমরা বিশ্বাস করি বিদ্যমান এই ভঙ্গুর রাজনৈতিক ব্যবস্থা আর সামনে আগানোর কোন সুযোগ নাই। বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি এবং নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হতেই হবে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমেদ বারকাজ নাসির, কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু। উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ রনি, যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক সিএইএচএম আরিফ, সদস্য সচিব নাসিমুল ইসলাম অন্তর, হাতিরঝিল থানা আহবায়ক রিয়াজুদ্দিন খান, মহানগর মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আমেনা বেগম, সহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।