কিছু রাজনৈতিক দল ছাত্রদের কটাক্ষ করে আওয়ামী লীগ মার্কা রাজনীতি শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর দারুস সালাম এলাকার গোলারটেক ইদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের থেকে আমাদের ছোট ভাইরা বড় হোক। এতে সমস্যা কি। কিছু দল ছাত্রদের কটাক্ষ করছে, আওয়ামী লীগ মার্কা রাজনীতি শুরু করেছে। একটুতেই যারা মাথা খারাপ করে ফেলে, ট্যাগিং দেয়, বাপ দাদারা এটা ওটা করেছে এসব নিয়ে বক্তব্য আওড়াচ্ছে। এই সংকীর্ণমণা রাজনীতি এখন আর চলেনা। আওয়ামী লীগকে ইতিমধ্যে দেশের মানুষ বর্জন করেছে। একই কাজ না করে দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা এই দেশেকে নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের দুর্নীতির রাজনীতি ২৪ এর ৩৬ জুলাই এ দেশের ছাত্রজনতা এ দেশকে আবারও স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তাদেরকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এখন কেউ কেউ বলে, তারা আর কি করছে, সবতো আমরা করেছি। রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করলেও সফল হতে পারিনি।
জনগণের কাছে এখন পরীক্ষা তারা কি পুরানো রাজনীতি ফেরত চান, নাকি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত যান বলে উল্লেখ করে সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে দেশে দুর্নীতি বন্ধ হবে। আপনারা দেশের স্টিয়ারিং টা আপনারা ভালো মানুষের হাতে দেন। আমরা ৫৩ বছর ধরে ব্যর্থ কেন হয়েছি, তা খুঁজে বের করতে হবে। এর মূল কারণ আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজ নেতাদের কারণে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের একদিকে ভালো লাগছে আমরা খোলামনে কথা বলতে পারছি। তবে আমাদের মাঝে উদ্বেগ আছে। স্বৈরাচারের কথিত অনুসারীরা তারা এখনো প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় বসে থেকে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় গেলেও শুধু আমাদের লোকরা না যোগ্য লোক সবাই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী অবস্থান পাবে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আমরা যুব সমাজকে উন্নত করার চেষ্টা করছি। কারিগরি প্রতিষ্ঠান, ট্রেনিং সেন্টার, ব্যাংক, স্কুল খুলে দেশের যুব সমাজকে কর্মদক্ষ করছি। আর কিছু দল রাজনীতি করে বড় ভাইয়ের। তারা যুবকদের হাতে অস্ত্র, মদ উঠিয়ে দায়। নারী লেলিয়ে দেয় তাদের উপর।
আমরা কারও জন্য আতঙ্ক না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকে মনে করে আমরা ক্ষমতায় গেলে চাদাবাজ, সন্ত্রাসীরা মনে করে তাদের জাহান্নামে পাঠাই দিবো। আমরা তা করবো না তাদেরকে আমরা দেশের জন্য উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো।