সারাদেশের ন্যায় মাঘ মাস শুরুর আগেই আমতলীতেও শীতের প্রকোপ বাড়ায় জন জিবন অতিষ্ঠ।
আমতলী উপজেলায় আজ বুধবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে আমতলী উপজেলার কর্মজিবি মানুষের কর্মের সন্ধান । প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবি, অসহায়, হতদরিদ্র ও চাকরিজিবিসহ নানা পেশায়জড়িত মানুষেরা শীতের কনকনে আবহাওয়ায় থমকে গেছে কর্মজিবন। কুয়াশার কারণে বাসসহ অন্যান্য যানবাহনগুলো দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। রোদের অভাবে ধান শুকাতে পারছেন না কৃষক । কাজের সন্ধানে বের হয়েও কাজ পাচ্ছেন না খেটে খাওয়া মানুষেরা। দোকানপাট খুলছে দেরিতে। বেশি কষ্টে আছেন কর্মজীবি ও ছিন্নমুল মানুষেরা। শীতবস্ত্রের অভাবে বাড়ির বাহিরে বের হতে পারছেন না তারা। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষজন।
দুরপাল্লার চালক আলমগীর বলেন, সকালে বের হয়েছি এখন দুপুর ১ টা বাজে ৯০ টাকার কাম করছি। ঠান্ডায় মানুষ বের হচ্ছে না। তাই কাজ কমে গেছে। ইনকামও কম হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন সবজি ব্যবসায়ী আলী বলেন, আজ বাজারে মানুষ খুবই কম। আবহাওয়া ভালো থাকলে বেচাকেনা একটু বেশি হয়।
দিনমজুর জাহাঙ্গীর গাজি, ঘরে বাজার নেই। এজন্য বাইরে বের হয়েছি। খুব ঠান্ডা পড়েছে। পেটের দায়ে রাস্তায় নামছি। তীব্র ঠান্ডার কারণে যাত্রীও সংকট। আগের মত এখন তেমন ইনকাম নেই।
শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে রোগ-বালাই। হাসপাতালগুলোতে বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াজনিত রোগীর সংখ্যা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আশরাফুল আলম বলেন, শীতে দিনমজুর, ছিন্নমূল ও গরীব লোকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। ফলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার সময়ে কাবু হয়ে পড়েন শ্রমজীবী মানুষের একটি অংশ। তাই বিত্তশালী মানুষদের উচিত এই শীতে তাদের সাহায্য করা, শীতবস্ত্র বিতরণ করা। আমাদের ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের শীতবস্ত্র পেলে সম্ভাবন অনুযায়ী শীতার্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে।