আমতলীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রতি পতিত সরকারের বৈসম্য মূলক নীতি, সিদ্ধান্ত ও আচরণ দূরীকণের লক্ষে জাতীয় করণসহ ৭টি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এক স্মারকলিপি প্রদান করেছন আমতলী পূর্বচিলা হাসানিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো:জাকির হোসেন।
আজ সোমবার সকাল ১১ টায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ৭দাবি আদায়ে লক্ষে স্বারকলিপি প্রদান ইফতেদায়ী সমন্বয়ক কমিটির পক্ষে শিক্ষক মোঃজাকির হোসেন।
জানাগেছে,বিভিন্ন পরিসংক্ষানে দেখা যায়-অনুদানভূক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সংখ্যা ১৫১৯ টি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর কোড ভুক্ত প্রায় ৮.০০ (আট হাজার) এর বেশী চালু আছে। কিন্ত এ সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।
এতে পূর্বচিলা হাসানিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো:জাকির হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এ শিক্ষার প্রতি বৈসম্য দূরীকরনের দাবীতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আগত লক্ষাধিক শিক্ষক/শিক্ষিকার মহাসমাবেশকে সফল করতে স্মারকলিপি প্রদান করছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,বরগুনা জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি,মুফতি ওমর ফারুক জিহাদী,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমতলী পৌরশাখার ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো: আবুল হোসাইন,বাংলাদেশ ইবতেদায়ী সমন্বয় উপ-কমিটির সদস্য মো:জাকির হোসেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আমতলী উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ ইমরান খান,বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোঃ মেহেদী জামান রাকিব,আমতলী উপজেলা ইফতেদায়ী মাদ্রাসার সমন্বয় কমিটির সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলামসহ প্রমুখ।
এতে স্মারকলিপি প্রদানের সময় বক্তারা বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী সরবরাহের সূতিকাগার, মুসলিম সন্তানদের জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে কুরআন শিক্ষার এবং ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষিত মুসলিম, নাগরিক তৈরীর একমাত্র প্রতিষ্ঠান। আপনি আরও জানেন যে, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষা তার সৃষ্টির শুরু থেকে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক অবহেলার শিকার হয়ে আজ মারাত্মকভাবে বঞ্চিত, উপেক্ষিত এবং অভিভাবকহীন।
এতে আরো বক্তারা বলেন,স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয় করণের ঘোষণা দিতে হবে,
রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় রেজিষ্টার্ড ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি সহ বেতন ভাতা দিতে হবে,ইবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থাপনের প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে ভাড়া বাড়ি ও রুম ব্যবস্থাপনার শর্তে চালু করার অনুমতি দিতে হবে,প্রতিটি গ্রামে এবং শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে সরকারী/বেসরকারী ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতে হবে,স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে উপবৃত্তি ও মিড-ডে মিলের আওতায় আনতে হবে,ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সহ সকল মাদ্রাসা তদারকির জন্য মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত পৃথক ডিও,টিও, এটিও নিয়োগ দিতে হবে, ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে সরকারী করণ সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদানে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্ধ রাখতে হবে।