• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন
  • ইপেপার

‘জুলাই যোদ্ধারা’ পাবেন মাসিক ভাতা সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার

প্রকাশক মৃধা বেলাল / ৩২
বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

নিউজ ডেস্ক।।

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক ভাতা পাবেন। এর পাশাপাশি তাঁরা আজীবন সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনা খরচে চিকিৎসা পাবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম গত সোমবার বাসসকে এসব তথ্য জানান। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন।

 

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আহতরা এ, বি, সি—এই তিন ক্যাটাগরিতে মাসিক ভাতা পাবেন। ক্যাটাগরি অনুযায়ী মাসিক ভাতার পরিমাণ যথাক্রমে ২০ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী সনদ ও পরিচয়পত্রও দেওয়া হচ্ছে।

 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা জানান, গেজেট আকারে ৮৩৪ জন জুলাই শহীদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রত্যেক জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবে। শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে।

তিনি বলেন, আহত জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে যাঁরা চিকিৎসা নেওয়ার পরও অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবন যাপন করতে পারছেন না, যেমন—যাঁর দুটি চোখই অন্ধ হয়ে গেছে অথবা এমন অঙ্গহানি হয়েছে, যার কারণে তাঁর পক্ষে একা চলাফেরা করা অসম্ভব, তাঁরা ‘এ’ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৪৯৩ জন। তাঁরা এককালীন পাঁচ লাখ টাকাসহ মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। 

ক্যাটাগরি ‘বি’তে রয়েছেন ৯০৮ জন, যাঁরা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, কিন্তু অন্যের সহায়তা ছাড়া মোটামুটি চলাফেরা করতে পারেন; যেমন—যাঁদের এক চোখ বা এক পা নষ্ট হয়ে গেছে বা এমন অঙ্গহানি হয়েছে যে তাঁরা একা মোটামুটি চলতে-ফিরতে পারেন। তাঁরা এককালীন তিন লাখ টাকা পাবেন আর মাসিক ভাতা পাবেন ১৫ হাজার টাকা করে। সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি ও আধাসরকারি চাকরি পাবেন।

 

চিকিৎসার পর বর্তমানে যাঁরা সুস্থ, তাঁদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ১০ হাজার ৬৪২ জনকে এই ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা এককালীন এক লাখ টাকা পেয়েছেন। এ ছাড়া আগামী মাস থেকে ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন; সঙ্গে পাচ্ছেন পুনর্বাসন সুবিধা।

তিনি বলেন, ৮৩৪ শহীদ পরিবারের মধ্যে ১৩৪ জনের পরিবারকে ওয়ারিশ জটিলতার কারণে পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। তা-ও অতি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে। আহত যোদ্ধাদের তালিকায় যেসব ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে তারও সমাধান করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

TikTok

জরুরি হটলাইন