• বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
  • ইপেপার
শিরোনাম:
আমতলী পৌর যুবলীগ সভাপতিসহ তিনজন গ্রেপ্তার! সাংবিধানিক বা আইনগতভাবে এ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই আওয়ামী লীগ যেন মিছিল করতে না পারে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, তাদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ ন্যাশনাল কমেডি পার্টি হয়ে যাচ্ছে এনসিপি: তাসনিম খলিল রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না, নির্বাচন করলে আবার জিতব: সাকিব এবারও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেননি প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল আমতলীতে এক বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ। আমতলীতে চাদা না দেয়ায় ৬ জনকে কুপিয়ে আহত। অপারেশন ডেভিল হান্ট, আমতলীতে আ লীগ নেতা গ্রেফতার।

আমরা রুকু এবং সিজদায় যা যা বলি সেটা নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন কি? হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

প্রকাশক / ১০৯
শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪

আমরা রুকুতে বলি “সুবহানা রব্বিয়াল আযীম”। অর্থঃ “আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনি সবচেয়ে শক্তিধর।”

আমরা সিজদায় বলি, “সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’. অর্থঃ ”আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনার মাকাম সবচেয়ে উঁচু”।

নামাজের মধ্যে শারীরিক দিক থেকে সবচেয়ে নড়বড়ে এবং দুর্বল অবস্থানটা হচ্ছে “রুকু”। রুকুতে থাকা অবস্থায় কেউ যদি নামাজরত বান্দাকে হালকা করেও একটা ধাক্কা দেয়, সে ধপাস্‌ করে মাটিতে পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। চমৎকার ব্যাপারটা হচ্ছে, আমরা যখন নামাজে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকি, তখন বলি “আল্লাহ আপনি সবচেয়ে শক্তিশালী!” আবার, আমরা যখন নামাজের মধ্যে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে থাকি, তখন আল্লাহকে বলি যে, “আল্লাহ আপনি সবচেয়ে উঁচু!”

সুবহানাল্লাহ! কেবলমাত্র এই কনসেপ্টটা আমাদের নামাজকে অন্য আরেক ডাইমেনশানে নিয়ে যায়! নামাজ পড়তে পড়তে যেখানেই মন চলে যাক না কেন, রুকু আর সিজদাহ দেওয়ার সময় মনে পড়ে যায় যে, “আল্লাহ সবচেয়ে শক্তিধর এবং আল্লাহই সর্বোচ্চ!”

তারপর রুকু থেকে উঠতে উঠতে আমরা বলি – “সামি আল্লাহু লিমান হামিদা” অর্থ: “আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তাঁর প্রশংসা করে।”

তারপর পরই দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি এবং বলিঃ “রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ অর্থ, “হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই।” অনেকটা যেন আমাদের কথাগুলি যে আল্লাহ সুবহানাতা’আলা শুনবেন, সেটা নিশ্চিত করে রাখলাম।

বলুন তো ঠিক সিজদায় যাবার আগে কেন এটা নিশ্চিন্ত করে নিলাম যে, আল্লাহ আমার সব কথা শুনবেন?

কারণ, সিজদায় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায় এবং সিজদা হচ্ছে দুয়া করার মোক্ষম সময়।

রসূল (সা.) বলেছেন, ‘সিজদারত বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী। সুতরাং সে সময় তোমরা বেশি বেশি দুয়া করো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮২)।

তাই আল্লাহর সাথে বান্দার এই মহামিলনের ঠিক আগ মুহূর্তে “সামি আল্লাহু লিমান হামিদা” reminder দিচ্ছে যে, আল্লাহর কাছে যা চাওয়ার সিজদায় গিয়ে উজাড় করে চেয়ে নাও। তিনি তোমার সব আকুতি-মিনতি শুনছেন। একটাও মাটিতে পড়বেনা। প্রতিটা দুয়া রব্বুল আলামিনের দরবারে মেহমান হয়ে পৌঁছাবে।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদেরকে উপরোক্ত আলোচনা গুলোর প্রতি গুরুত্ব সহকারে আমল করার তাওফিক দান করুন, আমীন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

TikTok

জরুরি হটলাইন