দেশজুড়ে সুফিবাদ জনগোষ্ঠীর দরবার ও মাজার শরীফের উপর আক্রমণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ তরিকত-এ-ইসলাম। একই সাথে মাজারে আক্রমণকারীদের শাস্তিসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ গোলাম উদ্দিন হিয়াজুড়ী বলেন, ৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তনের পর থেকে দেশব্যাপী সুফিবাদ বা তরিকাপন্থী জনগোষ্ঠীর দরবার-মাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ধ্বংষযজ্ঞ সংগঠিত হয়েছে। ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাস মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এ ছাড়া দেশব্যাপী অনেকগুলো দরবার বা মাজারে সন্ত্রাসী হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. মাজার বা দরবারে অগ্নিসংযোগকারী সকল সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. বাংলাদেশের সকল প্রান্তে সুফিবাদ ধর্মীয় দর্শনের সিদ্ধ পুরুষ তথা পীর, মুর্শিদ, ওলী-আউলিয়া গণের মাজার সংরক্ষণের জন্য জাতীয় পর্যায়ে “বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা” সংযুক্ত করতে হবে।
৩. গণমাধ্যম, পাবলিকেশন বা যেকোন প্রচার প্রকাশনায় পীর, মুর্শিদ, ওলী-আউলিয়াগণকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং বিচার ব্যবস্থায় এ ধরনের অপরাধের সুনিশ্চিত শাস্তির ধারা বা বিধান সংযুক্ত করতে হবে।
৪. পীর, মুর্শিদ, ওলী-আউলিয়াগণকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করে, মুসলমানদের একমাত্র জীবন বিধান পবিত্র আল-কোরআন’র অনুসরণ ব্যতীত আজগুবি মনগড়া বিধি-বিধান বা মতবাদের আলোকে যে সকল প্রকাশনা ও পাঠ্যপুস্তক রয়েছে সেগুলোকে নিষিদ্ধ বা কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৫. মাজার বা দরবার শরীফ ধর্ম অথবা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।