১। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’কে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যক্তি জাল নোট তৈরি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে যাচ্ছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮, বরিশাল জাল টাকার প্রসার ও জালনোট তৈরী রোধকল্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি ও নজরদারি অব্যাহত রাখছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায়, ২৬ মে ২০২৫ তারিখ ১৫.২০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর থানাধীন মৌকরন এলাকায় জনৈক মোঃ অয়ন মীর(২৩) এর ভাড়া বাড়িতে ২য় তলার পশ্চিম পাশের রুমের ভিতর কতিপয় ব্যক্তি জাল টাকার নোট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮, সদর কোম্পানী এর একটি আভিযানিক দল ২৬ মে ২০২৫ তারিখ ১৫.২০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক ০২ জনকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম ১। মোঃ অয়ন মীর(২৩), পিতা-মোঃ মাসুদ মীর, সাং-নিজহাওলা, থানা-রাঙ্গাবালি, জেলা-পটুয়াখালী, ২। মোঃ তামিম খান (২৩), পিতা-মোঃ সহিদ ইসলাম খান, সাং- মৌকরণ, থানা-পটুয়াখালী সদর, জেলা-পটুয়াখালী’ বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে তারা জানায় যে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। এসময় তাদের তল্লাশীর মাধ্যমে অভিযুক্ত মোঃ অয়ন মীর এর সাথে থাকা শপিং ব্যাগ হতে ৯,৯০০০.০০ (নয় হাজার নয়শত) জাল টাকার নোট ও অভিযুক্ত মোঃ তামিম খান এর প্যান্টের পকেট থেকে ৭,৮০০.০০ (সাত হাজার আটশত) টাকার জাল নোটসহ অভিযুক্ত অয়ন মীরের দেখানো মতে তার ঘর হতে জাল টাকা ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত ০১টি প্রিন্টার, ০১ টি ল্যাপটপ ক্যাবলসহ, ০১ টি মাউস, ০১টি কী বোর্ড, ০২ পাতা জাল নোটের নমুনা, ০২টি মোবাইল, ০৪ টি সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
৩। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-ক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে র্যাবের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।