মো. আকাশ মাহমুদ (রাজবাড়ী):
আজ ৩০ মে, শুক্রবার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এ দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন তিনি। তখন ক্ষণজন্মা এ রাষ্ট্রনায়কের বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর। তারপর থেকেই বিএনপি দিবসটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে। এ উপলক্ষ্যে বিএনপি ৮ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয়, দলীয় ও শোক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে রাজবাড়ীর পাংশায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯ টায় পাংশা উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খাঁন, পৌর বিএনপির ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি ইব্রাহীম হোসাইন খান নেপাল, বিএনপি নেতা ফারুক, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি রাশিদুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক বিল্লাহ, যুবদল নেতা আক্তার, জাহিদ, সোহাগ, ইমরুল, ছাত্র নেতা রাজ প্রমূখ।
এই দিনটি উপলক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির দিনব্যাপী রয়েছে নানা কর্মসূচি।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মনসুর রহমান কলকাতায় কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। শৈশব ও কৈশোরের একটি সময় গ্রামে কাটিয়ে জিয়া তাঁর পিতার সঙ্গে কলকাতায় ছিলেন। দেশ ভাগের পর করাচিতে চলে যান। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তিনি একটি সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে গৌরবময় দায়িত্ব পালন করেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন